দুর্নীতির মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের কারাদণ্ড
১৯৯৮ সালে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম এই রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আজহার হোসেন ও জহিরুল হক চৌধুরী, ক্যাশ অফিসার নাজিম উদ্দিন ও জনৈক মানিক মিয়া।
বিচারক রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি চার জনকে একই ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সাড়ে ৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আরেক ধারায় নাজিম উদ্দিন, জহিরুল হক ও আজহার হোসেনকে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে মর্মে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত। এক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।
এছাড়া, আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে ওই কপি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় রাষ্ট্রপক্ষ ৩৮৬ ধারার বিধান মতে, তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে আদায় করতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নথি থেকে জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ এস এম আব্দুল মতিন আনসারী মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা ১৯৯৮ সালের ৩১ মার্চ যেকোনও সময় বা এর আগে চার কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৪২০ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে ২০০৯ সালের ২১ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।