একাত্তরের পরাজিত শক্তি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ৩২জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অভিনন্দন জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই অভিনন্দন জানান। 

খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীক এই বিবৃতিটি স্বাক্ষর করে গণমাধ্যমে পাঠান। 

স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে গত কয়েকদিন দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে প্রাণহানীসহ বহু সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করায় ও মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তির দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আজ (১ আগস্ট) জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে।

খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা বিবৃতিতে একইসঙ্গে জামায়াত-শিবিরসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার অপরাধে আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

এ ছাড়া তারা বর্তমান কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করে বলেন, সরকার যেহেতু তোমাদের দাবি-দাওয়া সম্পূর্ণ মেনে নিয়েছে সে জন্য আমরা অনুরোধ করছি আন্দোলন পরিহার করে পড়ায় মনযোগ দেয়ার জন্য।

বিবৃতিদাতা খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন—ক্যাপ্টেন শাহাব উদ্দিন বীর উত্তম, অনারারী ক্যাম্পেন আদুল হক বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম, লে. কর্নেল আব্দুর রউফ বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান বীর প্রতীক, লে. কর্নেল মো. দিদারুল আলম বীর প্রতীক, ক্যাপ্টেন কাজী আ. সাত্তার বীর প্রতীক, ডিআইজি (আব) কাজী জয়নাল আবেদীন বীরপ্রতীক, মেজর ওয়াকার হাসান বীরপ্রতীক, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বীরপ্রতীক, মো. শাহাজাহান কবির বীরপ্রতীক, গোলাম আজাদ বীরপ্রতীক, নুর উদ্দিন বীরপ্রতীক, মো. মমিন উল্লাহ্ পাটোয়ারী বীরপ্রতীক, সৈয়দ রেযোয়ান আলী বীরপ্রতীক, নুর উদ্দিন বীরপ্রতীক, রতন আলী শরীফ বীরপ্রতীক, মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতীক, মোজাম্মেল হক বীর প্রতীক, সরদার মহসীন আলী বীর প্রতীক, আ. হাকিম বীর প্রতীক, রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক, আ. মান্নান বীরপ্রতীক, বজলুর মাহমুদ বীরপ্রতীক, নুরুল হক বীরপ্রতীক, বাহার উদ্দিন রেজা বীরপ্রতীক, নুরুল ইসলাম বীরপ্রতীক, হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, মো. ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক, ফজলুল হক বীর প্রতীক ও আনিসুল হক বীরপ্রতীক।