সাভারে জাবির সামনে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুর
এক দফা দাবি আদায়ে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের সময় ভাঙচুরের কবলে পড়েছে সেনাবাহিনীর দুটি পিকআপ।
আজ রোবার (৪ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরি গেইটে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে আন্দোলনকারীদের মুখে পড়ে সাভার সেনানিবাস থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা অভিমুখী সেনাবাহিনীর দুটি টহল যান। এ সময় গাড়ি দুটি আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। তখন ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনীর সরকার' বলে সেনাসদস্যদের উদ্দেশ করে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে, সেনাসদস্যরা মাইকিং করে আটকে পড়া যানবাহনের সামনে থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালে শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এতে সেনাবাহিনীর গাড়ি দুটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই সেনাবাহিনীর গাড়িতে উঠে যায়। তারা সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ না করতে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানাতে থাকে। তা সত্ত্বেও চলতে থাকে সেনাবাহিনীর গাড়ি দুটি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ। পরে সেনাসদস্যরা গাড়ি দুটো উল্টো ঘুরিয়ে সেনাবাহিবাস অভিমুখে চলে যায়।
এর আগেই সেখানে নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।
খন্দকার আবু আশফাক গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, কেন্দ্রের আহ্বানে ছাত্র-জনতার দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতেই তারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে শুরু করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কের ডেইরি গেইট এলাকায় তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এরপর আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এদিকে, মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাকিজা এলাকায় শিক্ষার্থী ও জনতা অবস্থান নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি থেকে সাভারে ফেরার পথে আন্দোলনকারীরা সাভার থানা রোডে প্রবেশ করলে অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে হয়।
এ সময় সাভার প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
ভাঙচুরের শিকার হয় ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জি এস মিজানুর রহমানের কার্যালয়। এক পর্যায়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে টাঙানো শোক দিবসের ব্যানার ও ছিঁড়ে ফেলা হয়।