গণহত্যার বিচারের দাবিতে জাতিসংঘকে চিঠি দেবে বিএনপি
গণহত্যার বিচারের দাবিতে জাতিসংঘকে চিঠি দেওয়া হবে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশে এবং বিদেশে কিছু কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়গুলো তুলে ধরছে। আমরা মনে করি, এটা একেবারেই সঠিক নয়।
তবে কিছু কিছু সমস্যা নিঃসন্দেহে তৈরি হয়েছে। এগুলো সম্প্রদায়গতভাবে নয়, রাজনৈতিক সমস্যা নয়। এটার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে আমাদেরকে জড়িয়ে একটা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বলতে চাই এই ধরণের কোনো ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। এমনকি, কোনো সুস্থ ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক দল এটার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। সম্পূর্ণভাবে একটা চক্রান্ত চলছে। এরমধ্য দিয়ে নতুন করে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তা নস্যাৎ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (১০আগস্ট) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের এসব কথা জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত আন্দোলনে সরকারি বাহিনী দিয়ে নৃশংসভাবে গণহত্যা করা হয়েছে। সেই গণহত্যার বিষয়ে আমরা কথা বলে এসেছি। অনেকে মনে করেছে, আমরা এটা নিয়ে কিছু করছি না। আমরা এখন নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের কাছে তদন্ত চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চিঠি পাঠাবো। একইঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও চিঠি দিবো। এ ছাড়া আন্দোলন করার কারণে আটক ৫০ প্রবাসীকে মুক্তির জন্য ইউএইকে চিঠি দেব।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ফখরুল দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, এত বড় একটি বিপ্লবের পরে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। স্বাভাবিক করা কঠিন কাজ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রাথমিকভাবে ভালো কাজ শুরু করেছেন। আশার আলো দেখতে শুরু করেছে মানুষ।
গণমাধ্যমকর্মীদের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ জানান ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএনপিপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।