বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াল নোয়াখালী শহর শাখা ছাত্রশিবির
ভারত থেকে আসা পানি ও টানা বৃষ্টির কারণে ফেনীর মুহুরী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নোয়াখালী জেলার আট উপজেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং বেগমগঞ্জ (৩টি ইউনিয়ন) উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর সাংগঠনিক শাখা। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড ও বাহিরে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় ২৫টি স্পটে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নেতাকর্মীরা।
বন্যার্ত সহায়তা কমিটির মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। স্থানীয় কমিউনিটি ও প্রাশাসনের সঙ্গে মিলে বন্যায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া নোয়াখালী মহিলা কলেজ, খাদিমুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী ইসলামিয়া মাদ্রাসা, খলিফার হাট মাদ্রাসা, নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, এখলাশপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, রাজগঞ্জ ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, রাজগঞ্জ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, আটবাড়িয়া জুনিয়র হাইস্কুলে হারুনর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়, অনন্ত পুর ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসা, বাকিপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা, কাদির হানিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জমিদার হাট উচ্চ বিদ্যালয়, হরিনারায়ণপুর উচ্চবিদ্যালয়, নোয়াখালী ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়, এম এ রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়, কারামাতিয়া কামিল মাদরাসা, আল হেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইতুল ফালাহ জামে মাসজিদ, আহমদিয়া উচ্চমাধ্যমিক স্কুলসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত মানুষদের জন্য রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে শুকনো খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে শহর শাখার স্বেচ্ছাসেবী টিম। অসুস্থদের জন্য রাখা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে ছাত্রশিবির।