টুঙ্গিপাড়ার নৌকায় বন্যার্তদের উদ্ধারে স্বেচ্ছাসেবকদল
কুমিল্লায় নৌকা ছাড়া বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে রয়েছে নৌযানের সংকট। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রী সভাপতি এস এম জিলানী সেখানে রয়েছেন উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণে। নৌযানের সংকট নিরসনে নিজ জেলা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে আনেন ১৬টি নৌকা।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার বাজার এলাকায় তাঁরা নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রী সভাপতি এ কে এম জিলানী বলেন, ‘আমরা গতকালকাল এখানে এসেছি। খাবার নিয়ে এলেও খাবার রিমোট এরিয়ায় নিয়ে যেতে পারিনি। তাই আমার এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় খবর দিয়ে ১৬টি নৌকা ব্যবস্থা করি। ১৫টি নিয়ে এসেছি কুমিল্লায়। একটি লক্ষ্মীপুর পাঠিয়েছি। চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আমাদের টিম কাজ করছে। ১৬ কোটি মানুষের এমন সহযোগিতা আগে কখনও দেখিনি। সবাই একযোগে সহযোগিতা করছে।’
এ কে এম জিলানী বলেন, কুমিল্লার অবস্থা নাজুক। এখানে নৌকা বা পানির বাহন ছাড়া কাজ করা অসম্ভব। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের পর্যাপ্ত পানি, খাবার, শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্য আছে। শুধু সঠিক মনিটরিং করে সেগুলো বন্যার্তদের মধ্যে পাঠানো ও বিতরণ করা দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পারভেজ আলম, দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আমিরুল পাশা সিদ্দিকী রাকিব, বুড়িচং উপজেলা যুবদল নেতা মিয়া মোহাম্মদ সোহাগ পারভেজ, বুড়িচং উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ভুইয়াসহ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও বুড়িচং উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।