গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে সহবস্থান জরুরি : শিমুল বিশ্বাস
বিএনপি চেয়ারপারসের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, পতিত স্বৈরশাসক দেশে ভিন্নমত সহ্য করতে পারত না। তাই বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর বছরজুড়েই চলতো নিপীড়ন-নির্যাতন। দেশের গণতন্ত্র মজবুত করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রাজনৈতিক সহবস্থান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কখনও তা করেনি।’
গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুর জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন শিমুল বিশ্বাস। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘হাজারো জীবনের বিনিময়ে পাওয়া বাকস্বাধীনতা এবং কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচিত সরকার। যে গণতন্ত্রের জন্য বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত তা পরিপূর্ণতা পাবে না।’
গার্মেন্টস, ঔষধ কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ, শিল্পাঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত পরিশোধের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, পতিত স্বৈরশাসক রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এ থেকে দেশকে আবারও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে অভিজ্ঞ প্রশাসন লাগবে। যা অন্তবর্তী সরকার দ্বারা পুরোপুরি সম্ভব না। বিএনপি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। এ দলটি গণ-মানুষের দল। আমরা জানি কীভাবে রাষ্ট্রকে নতুন করে গড়ে তুলতে হয়। এর আগে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। এবার জনগণের সহযোগিতায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি রাষ্ট্র ও অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর।’
শ্রমিক দল নেতা আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. রিয়াজুল হান্নান, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা। শ্রমিক জনসভায় হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারীরা দলে দলে যোগ দেন।