দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা
আসন্ন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. জহিরুল হকের সই করা এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়।
স্মারকে বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এসব নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো—
(ক) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্তরের বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে;
(খ) যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে;
(গ) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে;
(ঘ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে;
(ঙ) সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে তিনজন এবং রাতে চারজন) নিয়োজিত করতে হবে;
(চ) প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
(ছ) শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে;
(জ) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এরূপ কমিটি গঠন করবেন।