মানবকল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করলে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মহামানবদের জীবনদর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবকল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব। আর মানবকল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হব। আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বাণীতে বড়দিনের সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, ‘শুভ বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’ তিনি বলেন, সত্যনিষ্ঠা, ন্যায়নীতি, শান্তি, করুণার দিশারী মহান যিশুখ্রিস্টের এই দিনে পৃথিবীতে আগমন ঘটে। বিশ্বের সব খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে তাই এ দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। তিনি এসেছিলেন মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। বিশ্বের একটি বড় জনগোষ্ঠীর মানুষ যিশুখ্রিস্টের ধর্ম ও দর্শনের অনুসারী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি, সহাবস্থান ও মনুষ্যত্বের অনুসন্ধান। যুগে যুগে মহামানবেরা নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনের মাধ্যমে মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার পথপ্রদর্শক হয়েছিলেন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, অসত্যের বিনাশ সাধন করে উন্নত নৈতিক উৎকর্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে সমষ্টিগত সুখময় জীবন গড়ে তুলতে।’
যিশুখ্রিস্ট তার অনুসারীদের নিরলস ও একনিষ্ঠভাবে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, শুভ বড়দিন একটি সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। আর উৎসব মানুষের আনন্দময় সত্তার জাগরণ ঘটায়। উৎসবের মর্মস্থলে রয়েছে সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও শুভেচ্ছা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়া। অসূয়া, হিংসা ত্যাগ করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার-নির্মমতা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।