৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া চাকরি প্রার্থীরা সচিবালয়ে
৪৩তম বিসিএসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া চাকরিপ্রার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করেছেন। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরের পর তাঁরা সচিবালয়ের সামনে জড়ো হন। পরে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়ার পর দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে তাঁরা কেন বাদ পড়েছেন—তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রশ্ন রাখেন।
এ সময় প্রজ্ঞাপনে আবারও তাঁরা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান। ৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।
সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করা কয়েকজন প্রার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, পড়ালেখা করে চার বছর পর পিএসসির সুপারিশ পেলাম। নতুন চাকরিতে জয়েন করার আগে গেজেট থেকে বাদ পড়েছি।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে আবার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েন ১৬৮ জন।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশপ্রাপ্ত ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। এসব প্রার্থীকে ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিতে হবে।
৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। সুপারিশের দীর্ঘ ১০ মাস পর ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন।
৩০ ডিসেম্বরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসির সুপারিশ পাওয়া ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হল।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে, যাতে অংশ নিতে বিসিএসের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জনের জমা পড়েছিল। আর পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন।