হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের ভুলে ৩০০ হাঁসের মৃত্যুর অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রামে এক হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক খামারির তিন শতাধিক ডিমপাড়া হাঁস মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাঁসগুলোর মৃত্যু হয়।
খামারে থাকা ৬৭০টি হাসেঁর মধ্যে বাকি ৩৭০টি হাসও অসুস্থ বলে জানান খামারি।
বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল মৎস্যজীবী পাড়ার খামারমালিক ফজর আলী জানান, তাঁর খামারে ৬৭০টি হাঁস রয়েছে। হঠাৎ হাঁসের সমস্যা দেখা দিলে তিনি কথিত পশু চিকিৎসক শরিফুল ইসলামকে খবর দেন। হাঁসের অবস্থা দেখে গতকাল শনিবার খামারের হাঁসগুলোকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন প্রয়োগ করেন শরিফুল। আজ সকালে খামারমালিক খামারে গিয়ে দেখেন অসংখ্য হাঁস মরে পড়ে আছে। এ সময় তিনি চিৎকার করে কান্না করতে থাকলে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারমালিক আরও জানান, হাঁসের রোগ ধরতে না পারলে উনি চিকিৎসা দিলেন কেন। মর্মান্তিক ঘটনায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী খামারটি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসককে আগামীকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ক্ষতিপূরণসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
এদিকে কথিত পশু চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম জানান, তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি এলাকায় একটি মুরগির ফার্মে চাকরি করার সুবাধে কিছু চিকিৎসা রপ্ত করেছেন। এ বিষয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও থেকে। তাই বিভিন্ন এলাকায় টুকটাক হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ফজর আলীর খামারে গিয়ে দেখেন হাঁসগুলো প্লেগ ও কলেরায় আক্রান্ত। তাই সেগুলোকে জেন্টামাইসিন ইনজেকশন পুশ করেছেন। এতে হাঁসগুলো এভাবে মারা যাবে তিনি তা বুঝতে পারেননি বলেও জানান।