সাতক্ষীরায় ১৪৪ ধারার মধ্যেই বিএনপির দুপক্ষের কর্মসূচি, সংঘর্ষে আহত ১০
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা শুরু হয়।
জানা গেছে, বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আহ্বান করে বিএনপির একটি পক্ষ। সকাল ১০টায় ইউনিয়নের বেউলা সাইক্লোন শেল্টার মাঠে কমিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এসময় অপর পক্ষ সেখানে সমাবেশের ঘোষণা দিলে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্মেলনের স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকে ঘোষণা দেন।
১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অপর পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী সম্মেলন স্থলে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
ইটপাটকেল নিক্ষেপ, রড-লাঠি নিয়ে হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি বকুল, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শফি, কল্লোল, দিপু, আশিক, শফিকুল ও আছাফুর ও অপর পক্ষের উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আওয়াল ছোট, যুবদলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক রমজান আলী, যুবদলের কর্মী আজমিনুরসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকা দখলে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সম্মেলন আয়োজনকারীদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন ও যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে আমরা ভোটগ্রহণ করছিলাম। প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে রড, লাঠি, ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালালে সম্মেলন পণ্ড হয়। কর্মী ও জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা ফিরতে বাধ্য হয়। এরপর আমরা পুনরায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শুরু করি, অধিকাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন সারিবদ্ধ লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিতে আসা ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়ে সম্মেলন পণ্ড করে দেয়।
অপরপক্ষে আশাশুনি উপজেলা বিএনপির আরেক অংশের আহ্বায়ক আসিফুর রহমান তুহিন, সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল আহসান বলেন, খুলনা বিভাগীয় টিমের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্ধারিত তারিখের আগেই ত্যাগী নেতাদের বাদ রেখে গোপনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিয়ে কমিটি গঠন করতে সম্মেলন শুরু করলে আমাদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।