প্রধান উপদেষ্টা আরব আমিরাত যাচ্ছেন মঙ্গলবার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/10/ca.jpg)
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইতে অনুষ্ঠেয় ‘বিশ্ব সরকার সম্মেলন ২০২৫’ এ যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম গতকাল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন।’
পাবলিক ডিপ্লোমেসি উইংয়ের মহাপরিচালক রফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।’
রফিকুল আলম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব সরকার শীর্ষ সম্মেলন সরকারি অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবন বিনিময়ের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
গত দশক ধরে এটি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করার জন্য ১৪০টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নীতিনির্ধারক, চিন্তাবিদ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
রফিকুল আলম বলেন, এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন সরকার ও জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদার করার জন্য বৈশ্বিক সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের মধ্যে কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সাধারণ রাজনৈতিক স্বার্থের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন, যারা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এ ছাড়া বস্ত্র, কৃষি পণ্য ও জ্বালানির মতো খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে।