নরসিংদীতে কাচাঁবাজারের দখলে মহাসড়ক
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/10/narshingdi.jpg)
প্রথম দেখায় বোঝার উপায় নেই—এটি মহাসড়ক, নাকি সবজির বাজার। নরসিংদীর বেলাব উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডের কাছে গেলেই দেখা যায়, মানুষের ভিড়। এই ভিড়ে মিলেমিশে একাকার সবজির ক্রেতা, পথচারী ও যানবাহন।
জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ সবজি উৎপাদিত হয় বেলাব ও রায়পুরা উপজেলায়। এই দুই উপজেলার হাজারো কৃষক তাদের জমিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য নিয়ে আসে বারৈচা বাজারে। সপ্তাহের প্রতি সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার হাটবার নির্ধারণ করা থাকলেও প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শতশত কৃষক সবজি নিয়ে বাজারে আসেন বিক্রির উদ্দেশে। মহাসড়ক ঘেঁষে বাজারটি হওয়ায় পরিবহণ সুবিধা থাকায় বারৈচা বাজারে পাইকারি ক্রেতার ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি।
কাঁচাবাজারের জন্য নির্ধারিত কোনো জায়গা না থাকায় বারৈচা বাসস্ট্যান্ডের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর প্রায় ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে সবজি নিয়ে বসেন কৃষকরা। পণ্য পরিবহণে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যানে তারা কৃষিপণ্য নিয়ে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফলে প্রতিনিয়ত লেগে থাকে যানজট।
কৃষক কাজল মিয়া বলেন, কাঁচামাল বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। আমরা বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর বসি।
কামাল হোসেন নামের আরেক কৃষক বলেন, বাজার কমিটি ও সরকারের পক্ষ থেকে জায়গা নির্ধারণ করা হলে মহাসড়কে কেউ বসবে না।
গাড়ি চালকরা জানান, বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে কাঁচামাল বিক্রেতারা মহাসড়কের ওপর বসেন। এদে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। অনেক সময় নষ্ট হয়। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
বারৈচা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, কাঁচামাল বাজারের জন্য নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। কারণে কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য বাধ্য হয়ে মহাসড়কে বসেন। বাজারটি মহাসড়ক থেকে দূরে খোলা জমিতে স্থানান্তরের কার্যক্রম চলছে।
বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের ওপর সবজি কেনা-বেচা দীর্ঘদিনের। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। পাশাপাশি কৃষকদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি। মহাসড়কের পাশে একটি খোলা মাঠে সবজি বাজার স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। তাহলে আর এই সমস্যা থাকবে না।