সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩৩ কোটি টাকারও বেশি মানি লন্ডারিং করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তিনি থাইল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশে এই অর্থপাচার করেছেন বলে জানায় সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান অরগানাইজড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব।
একরামুল হাবীব বলেন, ইমরান হোসেন চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গুরু আমদানি করে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা অর্থ পাচার করেছেন। প্রতারণার মাধ্যমে দেশি গরু ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় বলে প্রচার করে বিক্রি করতেন। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় খাল ভরাট ও জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার ইমরান হোসেনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
ইমরান সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার হতে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় করতেন। একই সঙ্গে ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।