অবরোধের পর রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু

ছয় দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতেও সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সড়ক ও রেলপথের যাত্রীরা। তবে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করায় স্বাভাবিক হয়েছে বাস ও ট্রেন চলাচল।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা অবরোধ শেষে দিনের কর্মসূচি স্থগিত করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধভাবে দেওয়া পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট থেকে বাতিল করা; ‘ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর’ পদবি পরিবর্তন করে মামলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুতসহ ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরের নিয়োগ বাতিল করা; বিতর্কিত নিয়োগবিধি দ্রুত সংশোধন করা; ডিপ্লোমা নেই ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করা ও এর পরিবর্তে উন্নত বিশ্বের মতো চার বছর মেয়াদি, মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করে একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালনার ব্যবস্থা নেয়া; উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের (দশম গ্রেড) পদ ডিপ্লোমা নেই ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও অনেক সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে তাদের নিচু পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও কারিগরি খাত পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ছয় দফার সব দাবি মানতে হবে। আজ সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে আজকের মতো সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে আজ রাতের মধ্যে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না এলে আগামীকাল রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে রেললাইন অবরোধের ফলে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামীসহ সব রুটের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আশপাশের স্টেশনে আটকা পড়ে থাকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো। তবে কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার বলেন, আন্দোলন স্থগিতের পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ট্রেন আসা শুরু হয়েছে। ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢোকার পর ওয়াশপিটে পাঠানো হয়েছে। এখন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ঢুকছে, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ঢোকার পর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে। বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ছেড়ে গেলে আবার কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ছাড়বে। তারপর টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ঢুকবে। আর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ওয়াশপিট থেকে বের হলে পদ্মা এক্সপ্রেস হিসেবে ছেড়ে যাবে।