সিলেটে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭, স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার

মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল, নগদ আট লাখ ছয় হাজার ৯৮২ টাকা, চার ভরি সাত আনা স্বর্ণালংকার, দুটি পাইপগান, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, একটি হাইড্রোলিক কাটার ও একটি তালা ভাঙার শাবল উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে (২৯ এপ্রিল) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা এই তথ্য জানান।
নোবেল চকমা জানান, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর ঈদগাহ সড়কে জনৈক এমদাদ সিরাজের বাড়িতে গেটের তালা ভেঙে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ছয় লাখ ৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৩ লাখ টাকা। এই ঘটনায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জেলা পুলিশের একটি দল সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ থেকে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ২১ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার খলিলুর ইউনিয়নের বাগারাই গ্রামে প্রবাসী আব্দুর রহিমের বাড়ির তালা কেটে পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ দুই লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা লুণ্ঠনের ঘটনায়ও এই গ্রেপ্তারকৃতরা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মো. রায়হান মিয়া (২৫), সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার আক্কুল মিয়া ওরফে আকুল (৩৪), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মো. আফাজ মিয়া (২৫), সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের মো. মনির মিয়া (৫৫), সিলেট জেলার সোবহানীঘাট এলাকার অশোক কুমার দে (৪০), সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার তোফায়েল আহমদ (৩৬)। এ ছাড়া সিলেট শহরের লালদিঘীরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেট থেকে স্বর্ণের ক্রেতা দীনেশ কর্মকার (৬৫)-কেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমল হোসেন ও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিনহাজ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।