ভোলায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
ভোলায় বাস শ্রমিকের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার ৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত এবং বাস ও সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রোববার (৪ মে) সন্ধ্যার পর থেকে ভোলার বাস রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
জানান গেছে, রোববার বিকেলের দিকে ভোলার বাংলাবাজার সংলগ্ন এলাকায় বাস সাইট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতন্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভেদুরিয়া, কুঞ্জেরহাট, লালমোহনেও উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
এদিকে বাস শ্রমিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা থেকে ভোলা বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বাস শ্রমিকরা। অন্যদিকে বাস ও সিএনজি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে পাঁচটি স্থানে সিএনজিচালকেরা বাসশ্রমিকদের গায়ে হাত দিয়েছেন এবং দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন। এ কারণে তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাসশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডাকার পর যাত্রী পরিবহণ করায় বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে চারটি সিএনজি নিয়ে তিনটি ভাঙচুর ও একটিতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ক্ষুব্ধ চালকেরা লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখেন। তবে ভাঙচুর করেননি।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
গত ২৭ এপ্রিল বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ভোলার পাঁচ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ২৮ এপ্রিল ভোলার প্রশাসন দুই পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করিয়ে দিলে শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট তুলে নেয়।