পদত্যাগ করবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও ডা. মাহমুদুল

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে মঙ্গলবার দুদকে না এলেও আজ বুধবার (২১ মে) সকালেই দুদকে হাজির হন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসান।
এদিন সংস্থাটির কর্মকর্তারা অভিযুক্ত দুইজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডা. মাহমুদুল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য ও মিথ্যা দাবি করে জানান, ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততার কারণে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন তিনি। বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানান তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডা. মাহমুদুল বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ততার কারণে আমি পদত্যাগ করতে চাই। আমি মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করবো। এরপর তিনিই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
মঙ্গলবার উপস্থিত না হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত গতকাল দুদক তলব করেছিল। আমি চিঠি পাইনি। গণমাধ্যমে জেনে আজ হাজির হয়েছি। অভিযোগও গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। অভিযোগ ছিল তদবির ও অনৈতিক লেনদেন। যা অসত্য। কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, আমি আসলেই মর্মাহত।’
ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমি মূলত জুলাই আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছি। ইতোমধ্যে ৪৭ জনকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আরও আহতদের পাঠানো হবে। আমি পদে থাকি বা না থাকি আহতদের চিকিৎসা নিয়ে কাজ করে যাব।’
মাহমুদুলের আগে তুহিন ফারাবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পর্ক অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের প্রক্ষিতে গত ১৫ মে তাদের দুদকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।