দশানী নদীর তীব্র ভাঙনে বকশীগঞ্জে বিলীন ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দশানী নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার মেরুরচর ও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের অন্তত আটটি গ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে তিন কিলোমিটারজুড়ে তীব্র ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাঙন রোধে এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যার ফলে তারা চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
ভাঙনে মেরুরচর ইউনিয়নের ঘুঘরা কান্দি, আইরমারী মন্দী পাড়া, উজান কলকিহারা, কলকিহারা ও খাপড়া পাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। অন্যদিকে, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর আইরমারী, বাংগাল পাড়া ও বালুগ্রামের ফসলি জমিও নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘুঘরা কান্দি বাজার, একটি মসজিদ ও একটি গ্রামীণ সড়ক ভাঙনের কবলে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে মন্দী পাড়ার সেতু, বাজার ও শত শত বিঘা জমি।
ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা জানান, বারবার নদী ভাঙনে তাদের ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
নদী ভাঙনের শিকার কৃষক শের আলী, মোতালেব হোসেন ও মকবুল হোসেন বলেন, প্রতিবার ভাঙনের পরে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না। আমরা চাই, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক। না হলে এই এলাকার মানচিত্রই বদলে যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা হুমকির মুখে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করলে এসব গ্রাম মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, আমরা ভাঙন পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহযোগিতার পাশাপাশি ভাঙন রোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।