পাহাড়ি ঢলে ডুবল দুই স্কুলসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২১ ঘর
গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় ব্যাপক প্লাবন দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে দুটি স্কুল ও ২১টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ অসংখ্য বাড়িঘর ডুবে গেছে। এই পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে।
আজ রোববার (১ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া খালে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করায় ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও ঘাগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ঘাগড়া বাজারের বেশকিছু দোকান ও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া কাউখালী সদরে ইসামতি খাল তীরবর্তী ২১টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরেও পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে পড়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬১টি পরিবারের ২১০ জন সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এ পর্যন্ত ৫৫০ জন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ৩২টি ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি পাহাড় আংশিকভাবে ধসে পড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন আরও জানায়, পাহাড়ি ঢলের কারণে কাউখালী-ঘিলাছড়ি সড়কে মাটি সরে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মাটি ও গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। কিছু রাস্তা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা বৃষ্টি থামলে মেরামত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী আতিকুর রহমান বলেন, বড় ধরনের যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট কাউখালী ইউনিট নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের গত কয়েকদিন ধরেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছিল। উপজেলায় ১৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।