এক পশলা বৃষ্টি, নগরজীবনে স্বস্তি

যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং ত্যাগের মহিমায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে ও বাড়ির আঙ্গিনায় চলছে পশু কোরবানির কার্যক্রম। এর মধ্যে হচ্ছে বৃষ্টি। এতে কিছুটা দুর্ভোগ হলেও যেন স্বস্তির খুঁজে পেল নগরবাসী। আজ শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে করেই শুরু করেন পশু কোরবানির কাজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের নামাজ আদায় করেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরবানি দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির কার্যক্রম চলে। রাস্তার ওপরে, বাড়ির সামনে, ছাদেসহ খোলা জায়গায় পশু কোরবানি করছেন। বৃষ্টির কারণে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। উল্টো বৃষ্টিতে কোরবানির কার্যক্রমে ফিরেছে অন্যরকম আনন্দ।
কোরবানির কার্যক্রমের সময় বৃষ্টি আসায় স্বস্তি প্রকাশ করে প্রায় সবাই। শনিআখড়ায় জামশেদ বলেন, কোরবানির কার্যক্রমে বৃষ্টি, এযেন অশেষ রহমত। পশু কোরবানির কারনে রাজধানীর সব এলাকার রাস্তায় রক্ত আর রক্ত। রয়েছে পশুর বর্জ্য। বৃষ্টি না এলে দুপুরের পর এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যেত। এমন পরিস্থিতিতে থেকে বৃষ্টি আমাদের মুক্তি দিয়েছে। বৃষ্টি না এই এই রক্ত পরিষ্কার হওয়া কঠিন হতো। কঠিন ছিল পশুর বর্জ্য অপসারণ।
যাত্রাবাড়ি বাসিন্দা শাহিন আলম। তিনি বলেন, ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ রাস্তার উপরেই কোরবানি দেয়। কোরবানির পশুর রক্ত যাদের ড্রেনে চলে যায় এজন্য বাসা বাড়ির পানি রক্তের উপর ঢালা হয়। যে পরিমাণ পানি ঢাললে রক্ত পুরোপুরি পরিষ্কার হবে, সেই পরিমাণ পানি দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই এই বৃষ্টি আমাদের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে। এতে রক্ত পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে ড্রেনে চলে গেছে। পুরান ঢাকার ওয়ারিতে রাস্তার উপরে পশু কোরবানি করেছেন মাহবুব। তিনি বলেন, পশু কোরবানির ২০ মিনিট পর বৃষ্টি নামে। এতে কিছু দুর্ভোগ হলেও অসীম স্বস্তি পেয়েছি। বৃষ্টির কারনে পশুর রক্ত ধুয়ে মুছে ড্রেনে চলে গেছে। পশুর বর্জ্য সহজে পরিস্কার সম্ভব হয়েছে।