এনসিসি ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের দাবি এবি পার্টির

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ গঠনের দাবি জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হকও দলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
আজকের সভার সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ শুরুতে এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি সংক্রান্ত প্রস্তাবটি তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
দলের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “অতীতে নির্বাহী বিভাগের নামে মূলত শেখ হাসিনার একক পছন্দেই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ফলে ফ্যাসিবাদী আমলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিকে পর্যন্ত বলতে শোনা গেছে, তিনি ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’। তেমনিভাবে দলান্ধ অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কারণে পিএসসির প্রশ্নপত্র ব্যাপকহারে ফাঁস হয়েছে, যা নজিরবিহীন।”
মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, ‘প্রশ্ন হলো আমরা কি আগের অবস্থা বহাল রাখব নাকি সংস্কার করব? সহ্স্র প্রাণ ও রক্ত সাগর পেরিয়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে হলে অবশ্যই সংস্কার অপরিহার্য। সে কারণেই এবি পার্টি জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (এনসিসি) গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে এবি পার্টি সম্মত।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদটি সত্যিকার অর্থে ক্রিয়াশীল করার নিমিত্তে নির্বাচন পদ্ধতির পাশাপাশি তার কার্যক্রমের গুণগত পরিবর্তন আবশ্যক। অন্যথায়, একটি সুন্দর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি একজন প্রতীকী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অকার্যকর ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।’
বৈঠক শেষে এবি পার্টির নেতারা উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে দলীয় অবস্থান ব্রিফ করেন।