বিএনপির মামলায় নাম নেই সাবেক ইসি রাশেদা সুলতানার

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একই সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে বিএনপি। তবে, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (ডামি নির্বাচন) সময় থাকা নির্বচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার নাম বাদ পড়েছে মামলার এজাহার থেকে।
মামলার এজাহার ঘেঁটে এ তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া মামলায় এজাহারে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের সাবেক ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় একতরফা, কারচুপি ও নানাভাবে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ও বিএনপির মামলার সমন্বয়কারী সালাহউদ্দিন খান জানিয়েছেন, বেগম রাশেদা সুলতানার নাম টাইপিং মিসটেকের কারণে বাদ পড়েছে। তার নাম যুক্ত করে দ্রুতই সংশ্লিষ্ট থানায় আবেদন পৌঁছে দেওয়া হবে। তার নাম বাদ পড়ার আর কোনো কারণ নেই।
গত রোববার (২২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার নথিতে যাদের নাম পাওয়া যায় তারা হলেন—সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, তৎকালীন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সাবেক ডিজি র্যাব ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম অজ্ঞাত), সাবেক এনএসআই প্রধান ও সাবেক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন, আনিছুর রহমান ও তৎকালীন নির্বাচন সচিব (নাম অজ্ঞাত)।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, গত ২২ জুন একটি মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।