ধর্মীয় মূল্যবোধ মানব চরিত্রকে উৎকর্ষের পূর্ণতায় অভিষিক্ত করে : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সমাজের প্রতিটি সদস্য যদি ধর্ম চর্চা ও ধর্ম অনুশীলনে মনোযোগী হয় তাহলে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ মানব চরিত্রকে উৎকর্ষের পূর্ণতায় অভিষিক্ত করে। ধর্ম উপদেষ্টা আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তিনটি মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও দুটি মসজিদ উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের’ অংশ হিসেবে সারাদেশে ৫৬৪টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এ মসজিদগুলো সে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে। এই তিনটি মসজিদ নির্মাণে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা রাউজানের মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন এবং মসজিদে জুমার নামাজের আগে বয়ান করেন। উদ্বোধনী বয়ানে উপদেষ্টা বলেন, সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয় করে এ মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছে। এখন মসজিদকে আবাদ রাখার দায়িত্ব এলাকাবাসীর। মসজিদভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে সমাজের সবাইকে নিয়মিত মসজিদমুখী হতে হবে। মসজিদকে সচল রাখতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে চলতি বছর হজ্জ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বিমানবন্দরে কোন হাজী যেমন হয়রানির সম্মুখীন হননি তেমনি সৌদি আরবে গিয়েও কেউ বিড়ম্বনার শিকার হয়নি। কেউ হারিয়ে যায়নি বা বাংলাদেশি কোনো হাজী মারা যাননি। এ ছাড়া এবার স্বল্পমূল্যে কাবার কাছাকাছি স্থানে হাজীদের জন্য ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের খরচ কিছুটা কম হয়েছে এবং কিছু টাকা জমা রয়েছে। সব হাজী দেশে আসা শেষ হলে জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা রাউজান মডেল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। প্রথম দিনে মসজিদে খুতবা দেন ও জুমার নামাজে ইমামতি করেন হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মো. জসীম উদ্দিন। নামাজ শেষে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়ায় বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আবদুস ছালাম খান ও প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদুল আলম বক্তব্য দেন।