কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে গতকাল শুক্রবার (৪ জুলাই) রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকিকে (২৯) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দিনগত রাতে নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ারের নেতৃত্বে আকবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে গ্রামে মরদেহ আনার পর কবর খোঁড়া ও জানাজা পড়ানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ তিনটি দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরিবারের আরেক সদস্য রুমা আক্তার (২৮) গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।