আগামী তিন দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। এই সময়ে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া অনেক এলাকায় নদীর পানি বেড়ে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে। তিস্তা ও দুধকুমার নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিগোয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগের হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানিও আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময়ে মুহুরী, সিলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলে গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। উক্ত নদ-নদীর পানি সমতলে আগামী ৫ দিন বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

গঙ্গা নদীর পানি সমতলে গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী ৩ দিন বাড়তে পারে ও পরবর্তী দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আপার আত্রাই, আপার করতোয়া, মহানন্দা, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে আত্রাই, যমুনেশ্বরী, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী তিন দিন বাড়তে পারে।

সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী, কংস, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি সমতলে গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। অপরদিকে যাদুকাটা, ভুগাই ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে। মনু নদীর পানি সমতলে হ্রাস পেয়েছে। যাদুকাটা, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও ভুগাই-কংস নদীর পানি সমতলে আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরদিকে মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি সমতলে আগামী ২৪ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং পরবর্তী দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।