কিশোরগঞ্জ বিএনপির সভাপতি আলম, সম্পাদক মাজহারুল

দীর্ঘ নয় বছর পর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে মো. শরীফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। পরে গণনা শেষে রাত ২টায় ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
এর আগে ২০১৬ সালের কাউন্সিলেও তারা দুজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, সভাপতি পদে মো. শরীফুল আলম এক হাজার ৫২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল হোসাইন পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। বাতিল হয়েছে ১২০ ভোট।
অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম এক হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল পেয়েছেন ৬১১ ভোট। অপর দুই প্রার্থী সাজ্জাদুল হক ভোট পেয়েছেন সাতটি এবং শফিকুল আলম রাজন ৩০টি। এ পদে বাতিল হয়েছে ৩৩ ভোট।
কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলা ও আট পৌর কমিটির মোট দুই হাজার ৯০ কাউন্সিলর ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। গতকাল রাতে ভোটগ্রহণের আগে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে এ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
২০১৬ সালে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ঐকমত্যের ভিত্তিতে মো. শরীফুল আলমকে সভাপতি ও মাজহারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ওই সম্মেলনেও প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলটি আর কোনো সম্মেলন করতে পারেনি।
এদিকে দীর্ঘদিন পর কাউন্সিলকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছিল চোখে পড়ার মতো। সম্মেলনের সফলতা কামনা করে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় বানানো হয়েছিল শত শত তোরণ। সেই সঙ্গে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে যায় পুরো শহর।