আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পেল লেবার পার্টি, প্রতীক আনারস

আদালতের আদেশে বাংলাদেশ লেবার পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেল। দলীয় প্রতীক হিসেবে পেয়েছে আনারস। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দলটিকে নিবন্ধন সনদ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ দলটির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নিবন্ধন সনদ তুলে দেন।
সনদে বলা হয়, দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্যা পিপল অর্ডার, ১৯৭২ এর পরিচ্ছেদ ৬/এ’র বিধান অনুযায়ী গত ২৯ মে হাইকোর্ট বিভাগের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করা হয়।
সনদ গ্রহণ শেষে দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আমরা নিবন্ধন পেয়েছি। এই নিবন্ধন লেবার পার্টির জন্য নতুন ধারা সৃষ্টি করবে। আমরা দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম। ২০১৮ সালে আমি নিজে পিরোজপুর-২ আসনে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করেছি।
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, এবার আমাদের নিবন্ধন পেয়েছি, শিগগির আমরা আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করব। লেবার পার্টি এখন বাংলাদেশে আরেকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। আমাদের নিবন্ধন নম্বর ৫৬, আর প্রতীক হচ্ছে আনারস।
এসময় পিআর পদ্ধতি নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, এখন আমাদের পিআর নিয়ে না ভেবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ভাবা দরকার। কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে। এটা মূলত নির্বাচনকে বানচালের একটি অপচেষ্ট। বাংলাদেশের নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার একটি অপচেষ্টা মাত্র। যারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না তারাই পিআর পদ্ধতি চায়।
এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দল হিসেবে নিবন্ধনের নির্দেশনা দেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর রুল জারি করেন আদালত। রুলে লেবার পার্টিকে কেন নিবন্ধন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
এরপর রুলের ওপর শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৯ মে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ লেবার পার্টিকে এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অবশেষে রায়ের প্রায় চার মাস পর লেবার পার্টিকে নিবন্ধন দিল আদালত।
লেবার পার্টিকে নিয়ে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২টি। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।