‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে গণভোটের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো একমত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ ও তাদের সম্মতি নিশ্চিত করতে একটি গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দেশের সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। আজ রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ উল্লেখ করেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম পদক্ষেপ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্যান্য বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
আলী রীয়াজ জানান, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে ও সেই আইনসভা জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে যে সমস্ত সংস্কার করবে, তা যেন টেকসই হয়— সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার্যত ঐকমত্য রয়েছে।
অধ্যাপক রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য তৈরিতে ও বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সচেষ্ট হয়ে দলগত অবস্থান থেকে সরে আসায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দলগুলোর এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে কমিশন খুব শিগগিরই সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করে সরকারের কাছে দিতে পারবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, পূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে আজকের আলোচনায় সনদ বাস্তবায়নে ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে বলে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মনে করছে।
দীর্ঘ বিরতির পর রোববার বেলা বারোটায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।