এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ চলে এসেছে : ইশরাক হোসেন

বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের ভক্ত ছিলাম। ভেবেছিলাম তারা বিপ্লবী দল হবে। কিন্তু তারা ক্ষমতার অংশীদার কিংস পার্টির আচরণ তাদের মধ্যে চলে এসেছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর গোপীবাগে সূত্রাপুর, ওয়ারী, বংশাল, কোতোয়ালি ও গেন্ডারিয়া থানা শ্রমিক দলের এক সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশরাক হোসেন এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া।
ইশরাক হোসেন বলেন, আগে আওয়ামী লীগ যেভাবে লুটপাট, টেন্ডার বাজি ও বদলি বাজি করতো আজকে তাদের একটি অংশ এগুলোতে জড়িয়ে পড়েছে। আমি আশা করি যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছে তাদের বাদ দিয়ে এনসিপি সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে।
জামায়াত প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, আমরাতো একসঙ্গে রাজনীতি করছি। আজকে শুধু ক্ষমতার লোভে জনগণের সামনে যা তা দাবি নিয়ে সামনে আসতে চাচ্ছে। পিআর পদ্ধতি দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর দলের কয়েকজন বিপথগামী নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি ফুটপাত, বাজার ও বাসস্ট্যান্ড করার জন্য নয়। আমরা লড়াই করেছি মুক্ত হওয়ার জন্য। হাসিনার আমলে মানুষ কথা বলতে পারতো না। দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা ছিল। মানুষকে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে হতো।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করতে পারবে না। এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী সংগঠন। এরা দেশ ও জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছে। এখনও তার বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করে চলছে। এরা সাংগঠনিকভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, মানুষ মেরে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা খুনি হাসিনার বিচার নয়, শাস্তি দেখতে চাই।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক বলেন, বিগত ১৭ বছর এই ভূমি বাংলাদেশ ছিল না। এটি ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণকে দাসে পরিণত করেছিল। দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো এ দেশের জনগণের ভাগ্য ও নির্বাচন। বাংলাদেশকে কীভাবে লুটপাট করবে, কারা করবে সেগুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হতো।
বিএনপির তরুণ এই নেতা বলেন, গত জুলাই আন্দোলনে রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। যারা জীবন দিয়েছে কে ক্ষমতায় আসবে বা আসবে না এর জন্য নয়, তারা আত্মবিসর্জন দিয়েছে অত্যাচার ও অবিচার বিরুদ্ধে। আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। শহীদের রক্ত আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।