ইসিতে আসতে আসতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে আসতে আসতে আমাদের (এনসিপি) জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানটা যে হলো, এখানে কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেকগুলো এসেট তারা রেখে চলে গিয়েছিল। এই নির্বাচন কমিশনটা ১৫ বছর তারা নিজেদের মতো সাজিয়েছিল।
এনসিপির এই নেতা বলেন, এই যে তারা গনিমতের মালগুলো রেখে গিয়েছিল, সেই গনিমতের মালগুলো উপদেষ্টা-বিএনপি-জামায়াত সবাই ভাগ করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের বর্তমান যা অবস্থা, এই ইলেকশন কমিশনও তারা গণিমতের মাল হিসেবে ভাগ করেছে।
নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আর্মি এক ভাগ নিয়েছে, বিএনপি এক ভাগ নিয়েছে, জামায়াত এক ভাগ নিয়েছে। কিন্তু আমরা তো জনগণের একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে দেখতে চাই। এজন্য আমরা ওনাদের বলেছি, এটা তিন-চার দল বা আর্মির অথবা ডিজিএফআইয়ের গণিমতের মাল হিসেবে দেখবেন না যে আওয়ামী লীগ রেখে গিয়েছিল। রুলস রেগুলেশনের মধ্যে আসতে হবে।
পাটওয়ারী আরও বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা চালিয়েছিল, তাদের আদালতের পর্যবেক্ষণে আনা হয়েছে এবং তাদের গৃহবন্দী হয়েছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে সেসব ব্যক্তির মধ্যে যেমন জিয়াউল আহসান, সেও এই নির্বাচন কারচুপি থেকে শুরু এই প্রতিষ্ঠানটা ধ্বংসের মধ্যে অন্যতম কারিগর ছিল। সেখানে তারও বিচারের কথা রয়েছে। তেমনিভাবে আজকে আমরা বলেছি, গত ১৫ বছরে এখানে যারা নির্বাচন কমিশনে এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে। কিন্তু ওনারা আমাদের যে উত্তরটা দিয়েছেন, নতুন কোনো রিক্রুটমেন্ট হয় নাই। ফলে ইন্টারচেঞ্জ করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আগের যে পরিস্থিতিতে ছিল, সেই পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ বিষয়গুলো আমরা উল্লেখ করেছি। তাদের নজরে এনেছি।
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক যাত্রায় আমরা নির্বাচন কমিশনকে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের কাছে দিতে চাই না। কোনো ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের কাছেও দিতে চাই না। অথবা কোনো ফ্যামিলির কাছেও আমরা এই নির্বাচন কমিশন বর্গা দিতে চাই না। আমরা চাই, নির্বাচন কমিশনটা জনগণের হবে। এজন্য আমরা জুতার তলা ক্ষয় করে হলেও বারবার এই নির্বাচন কমিশনের কাছে আসি। আপনাদের সামনে দাঁড়াই। আমরা বলেছি যে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করুন। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখুন। আপনারা জিয়া ফ্যামিলি না, মুজিব ফ্যামিলি না, রহমান ফ্যামিলি না, কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম না।
এ সময় দলটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।