নোয়াখালীতে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ৩০

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শহরে সন্ধ্যায় শিবির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কাশেম বাজার জামে মসজিদে গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) ছাত্রশিবির 'দারসুল কুরআন' কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে কিছু যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। গতকালের হামলার প্রতিবাদে রোববার আসরের নামাজের পর আবারও একই মসজিদে কুরআন তালিমের কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। রোববার আসরের নামাজের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী মসজিদে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। পরে মসজিদে তালা মেরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপের কারণে তাদের ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের আনতে অ্যাম্বুলেন্স গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে নোয়াখালী শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, শিবিরের সাথী সালাউদ্দিন, কেরামতিয়া মাদরাসার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত আলীসহ ১৬ জন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় একাধিক বিএনপির নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, আসরের নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদে স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তারা উল্টো হামলা চালায়। এতে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ আটজন নেতাকর্মী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।