মাঠ পর্যায়ে বন্ধ হচ্ছে এনআইডির বয়স সংশোধন
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি বিশেষত বয়স সংশোধনের বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের অফিস থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সংশোধনের জন্য তৈরি করা নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি) এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
আরও পড়ুন : ইসি শতভাগ প্রস্তুত : ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
হুমায়ুন কবীর জানান, বয়স সংশোধনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এখন থেকে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন অফিসে না রেখে প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে। তবে অন্যান্য তথ্যের সংশোধনের অংশগুলো মাঠ পর্যায়ের অফিসেই থাকবে।
প্রধান কার্যালয়ে স্থানান্তরের কারণ
ডিজি হুমায়ুন কবীর জানান, এনআইডি সংশোধনের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এবং কিছু ক্ষেত্রে ‘অপরাধী দৃষ্টিভঙ্গি’-তে অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্যের পরিবর্তন ঘটানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজের সুরক্ষা ও এ ধরনের অপব্যবহার ঠেকাতেই সংশোধনের প্রক্রিয়া কঠোর করার চিন্তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনের ২৩ কর্মকর্তা বদলি
হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, আমরা সংশোধনের এই মাত্রাটা একটি পর্যায়ে মনে করেছি যে মানুষ বিপদগ্রস্ত। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখছি মানুষ বিপদগ্রস্ত না, কিছু মানুষ অপরাধী দৃষ্টিভঙ্গিতেও কিছু কিছু কাজ করছে। সেই বিষয়গুলো যদি ঠেকাতে হয় ও আমার ডাটাবেজ যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে তো এইভাবে চলতে পারে না। এইজন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, এই জিনিসটা এখন বন্ধ করে ফেলতে হবে।
ডিজি জানান, শুধু বয়স সংশোধন নয়, নতুন এসওপিতে আরও অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে— সংশোধনের জন্য অনেকগুলো তথ্যের (ফিল্ড) সুনির্দিষ্ট করণীয় ঠিক করা। দালিলিক তথ্যের জন্য অপেক্ষার কারণে আবেদন বছরের পর বছর ফেলে রাখা এড়াতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার (টাইমিং) মধ্যে নিষ্পত্তি করার চিন্তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : আরও ১৬ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির
গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)-এর সভাপতিত্বে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সভায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই প্রস্তাবগুলো কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে কার্যকর হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক