সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাই প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে এগিয়ে আসেন এবং দীর্ঘ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।’
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা ও প্রশংসা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের জন্য আমি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি বলেন, গত ১৫ মাসে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাবে। তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)