খালেদা জিয়া বিমানবন্দরে যাবেন হেলিকপ্টারে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে মধ্যরাতে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁকে বহন করতে কাতার সরকারের পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মধ্যরাত বা শুক্রবার ভোরে ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে। অবতরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি জানিয়েছে।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মত হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে কাতার সিভিল এভিয়েশন অথবা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) লিখিত আকারে জানিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অবতরণের শিডিউল জানাবে। তবে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বেবিচক কোনো চিঠি পায়নি।
বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেলেই তারা অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকায় অবতরণ করতে পারে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে বিমানবন্দর সুইপিং করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরাও বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়েছেন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি দেশে অবতরণ করলে তারা সেটিকে ইনস্পেকশন করবেন। তাদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের পর বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিকেল হেলিকপ্টারে করে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্যতম এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে লন্ডন নেওয়ার কথা জানান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকসহ মোট ১৪ জন সফরসঙ্গী লন্ডনে যাবেন। তারা হলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. মোহাম্মদ আনামুল হক চৌধুরী, ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দীন আহমদ, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। আরও থাকবেন হাসান শাহরিয়ার ইকবাল, সৈয়দ শামীন মাহফুজ, মো. আব্দুল হাই মল্লিক, মো. মাসুদার রহমান, ফাতেমা বেগম ও রূপা শিকদার।

নিজস্ব প্রতিবেদক