পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চালু মেট্রোরেল
কর্মীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) পাঁচ ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। আলোচনায় দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পেয়ে কর্মীরা কর্মবিরতি থেকে সরে এসেছেন। এরপর রাত আটটার কিছু পরে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিলের পথে শুক্রবার ছুটির দিনে বেলা তিনটা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করে। সর্বশেষ ট্রেনটি মতিঝিল থেকে ছাড়ে ৯টা ৪০ মিনিটে।
স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণয়নে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে আজ সকাল সকাল সাতটা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। এ কারণে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় বিঘ্ন ঘটার শঙ্কা দেখা দেয়। যদিও গতকাল মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, শুক্রবার মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণা মানেননি আন্দোলনকারীরা।
ডিএমটিসিএলের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ হওয়ার পথে। কিছু প্রক্রিয়াগত বিষয় আছে। সরকার তাদের দাবি মেনে নেওয়ায় রাত থেকেই মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, দাবি আদায়ের জন্য গতকাল উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁরা দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন স্লোগান দেন। আজ শুক্রবারও সকাল থেকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁরা দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত মেট্রোরেলের একজন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করছি। সার্ভিস রুল চালু করার কথা ছিল আগেই। সেটি ঘোষণা না দেওয়ায় আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আজ সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বিধায় আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
গতকাল রাতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, তাঁদের দাবি অনুযায়ী চাকরিবিধি ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন হয়নি। এ জন্য শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলবে। এ সময় কোনো যাত্রী সেবা দেওয়া হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক