বিমানে তারেক রহমানের সফরসঙ্গী যারা
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে স্বদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে তিনি লন্ডনের বাসভবন থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০২) বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারে করে তিনি দেশে ফিরছেন। তারেক রহমানের জন্য এই ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসে ছয়টি টিকিট কেনা হয়েছে। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান, ব্যক্তিগত সচিব আব্দুর রহমান সানি, দলের প্রেস উইংয়ের সালেহ শিবলী এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কামাল উদ্দীন। তবে আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান চাচার সহযাত্রী হচ্ছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই ছয়জনের বাইরে নিজস্ব অর্থায়নে বিজনেস ক্লাসের টিকিট কেটে একই ফ্লাইটে সঙ্গী হয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির মাহিদুর রহমান, মুজিবুর রহমান মুজিব, খছরুজ্জামান খছরু, নাসির আহমদ শাহীন, রহিম উদ্দীন, আসাদুজ্জামান আহমদসহ আরও অনেকে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বিএনপির অসংখ্য নেতা ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কেটে সফরসঙ্গী হয়েছেন। সব মিলিয়ে তারেক রহমানের এই ফ্লাইটে ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী ও ব্যক্তিগত স্টাফ থাকছেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, তারেক রহমান তাঁর পরিবার ও ব্যক্তিগত স্টাফদের নিয়ে ফিরছেন এবং এর বাইরে অনেক নেতা যার যার মতো টিকিট কেটে একই ফ্লাইটে আসছেন।
লন্ডন থেকে দীর্ঘ যাত্রা শেষে বিমানটি সিলেটে যাত্রাবিরতি করবে। এরপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিমানবন্দরের রজনীগন্ধা লাউঞ্জে ২০ মিনিট অবস্থানকালে তিনি জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কৌশল বিনিময় করবেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। এ সময় রাস্তার দুপাশে লাখো নেতাকর্মী তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এভারকেয়ারে যাওয়ার পথে ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সড়কে একটি সংক্ষিপ্ত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবেন এবং মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করবেন। হাসপাতাল পৌঁছে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন। মায়ের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি স্বাস্থ্যের খোঁজ নেবেন। মায়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর তিনি গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হবেন। তবে তিনি গুলশানে মায়ের বাসা ‘ফিরোজা’ নাকি নিজের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক