এনু-রুপনের বাড়ি, টাকা-সোনায় গড়াগড়ি
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত দুই ভাইয়ের ছোট্ট বাসায় অভিযান চালিয়ে সিন্দুক ও বস্তার মধ্যে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা, পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর এবং প্রায় এক কেজি স্বর্ণ পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ছাড়া প্রচুর বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৩-এর একটি দল গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের দুটি বাসায় অভিযান শুরু করে। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চলে। আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা হলেন গেণ্ডারিয়া থানা শাখার সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও তাঁর ভাই একই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, ‘অভিযানে নগদ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর এবং প্রায় এক কেজি ওজনের স্বর্ণ জব্দ করেছি। নয় হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১৭৪ মালয়েশীয় রিঙ্গিত, পাঁচ হাজার ৩০০ ভারতীয় রুপি এবং এক হাজার ১৫০ চীনা আরএমবি উদ্ধার করতে পেরেছি।’
র্যাব কর্মকর্তা জানান, এই টাকা ও স্বর্ণালংকার র্যাব থানায় হস্তান্তর করবে। থানা থেকে এসব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। এর আগেও দুই নেতার বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানের পর টাকা ও স্বর্ণ এখানে এসেছে কিনা তা জানাতে পারেনি র্যাব।
অভিযানটি পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। আজকের অভিযানে কাউকে আটক করা হয়নি।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ৪০ লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ এনামুল ও রুপনকে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে অর্থ পাচার মামলায় দুই ভাইকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে গেণ্ডারিয়া এলাকায় তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি নগদ টাকা ও আট কেজি ৭২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারের পর থেকেই পলাতক ছিলেন এনামুল ও রুপন। তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের চারটি মামলা করা হয়।
অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপমহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুই ভাইয়ের ঢাকায় ২২টি বাড়ি রয়েছে, যার বেশিরভাগই পুরান ঢাকায়। সেইসঙ্গে ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা এবং পাঁচটি ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে।