বর্ধিত শুল্ক বাতিল না করলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের হুমকি

সরকারকে সাত দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত শুল্ক বাতিল করার আলটিমেটাম দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন, এমনকি বন্দর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পোর্ট ইউজার্স ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নেভি কনভেনশন হলে পোর্ট ইউজার্স ফোরামের প্রতিবাদ সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন আমীর হুমায়ুন মাহমুদ। চট্টগ্রাম বন্দরে নানা সেবায় অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপের প্রতিবাদে নেভি কনভেনশন হলে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম এ সভা করে।
বাংলাদেশের সব মানুষ বন্দরের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্দর বন্ধ হলে সারা দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের লাইফলাইন। বন্দরকে সামনে রেখে দেশের বাজেট হয়।
৪০০ শতাংশ ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে, আমরা কি মগের মুল্লুকে বাস করছি, প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আমিরুল হক বলেন, এটা কখনো চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা হতে দেবো না। কোনো কারণে যদি চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয় তাহলে যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা দায়ী থাকবেন, আমরা ব্যবসায়ীরা দায়ী থাকব না।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক ট্যারিফ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএর পরিচালক এম ডি এম মহিউদ্দিন বলেন, বন্দরে ট্যারিফ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটে গেছে। ঘর ভাড়া, দোকান ভাড়ার নীতিমালা আছে। বন্দরের নতুন ট্যারিফে ব্যবসায়ীরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
‘তিন ধরনের কর দেই, একজন মানুষ কতবার কর দেবে, এটা সংস্কার করা জরুরি’ উল্লেখ করে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বন্দর ৫৭ টাকার পাসের ফি ২৩০ টাকা করেছে। বন্দরে চালকদের ওয়াশ রুম, ক্যান্টিন নেই। আমাদের ১৫ হাজার গাড়ি, ১০ হাজার শ্রমিক। বন্দর টার্মিনাল দিচ্ছে না ১৫ বছর বলার পরও।
ট্যারিফ বাড়াতে হলে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাড়াতে হবে জানিয়ে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নজরুল ইসলাম বলেন, বন্দর কোনো কোনো ক্ষেত্র ৪৪০ শতাংশ ট্যারিফ, চার্জ বাড়িয়েছে। কস্ট বেইজড ট্যারিফ হওয়া উচিত। শিপ ওনার চার্জ বাড়িয়ে দেবে। শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হবে।
বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল বলেন, আমাদের ১২ হাজার গাড়ি আছে বন্দরে। বন্দরের উন্নতির পেছনে আমাদের ভূমিকা আছে। দুই থেকে তিন হাজার টাকায় ট্রিপ মেরে ৫০০ টাকা আয় হয় না, আমার ওপর ৩০ হাজার টাকা আয়কর। বন্দরের নতুন ট্যারিফ শিডিউলে ৫৭ টাকার গেট পাস ২৩০ টাকা করা হয়েছে।