চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে, শাস্তির সুপারিশ তদন্ত কমিটির
সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনার তদন্তের প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। তদন্তে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ মেলায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল আজ সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তবে, সেদিন অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের সশরীরে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও, তিনি আসেননি। তাঁকে ছাড়াই প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। এদিকে, শিক্ষক ফারহানার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে ২১ অক্টোবর দুপুর একটার মধ্যে সশরীরে কমিটির মুখোমুখি হতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৃতীয় দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগেও আরও দু’দফা নির্দেশ পেয়েও কমিটির মুখোমুখি হননি শিক্ষক ফারহানা। ঘটনার বিপরীতে আত্মপক্ষের সমর্থনে বক্তব্য দিতে সশরীরে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি ২১ অক্টোবর আসেননি। অবশেষে তাঁর অনুপস্থিতেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।’
লায়লা ফেরদৌস হিমেল আরও বলেন, ঘটনার প্রেক্ষাপট, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য এবং সিসিটিভি ফুটেজে শিক্ষক ফারহানা শুরু থেকেই অভিযুক্ত হন। শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় তিনিই যে চূড়ান্ত ও একমাত্র অভিযুক্ত, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি চাকরির বিধিমালা (শৃঙ্খলা ও আপিল) অনুযায়ী তাঁকে তিন বার সময় দেওয়া হলেও তিনি আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির বিধিমালা (শৃঙ্খলা-আপিল) অনুযায়ী প্রতিবেদনে তাঁর শাস্তির জন্য সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ শিক্ষার্থীর চুলকাটার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হন শিক্ষক ফারহানা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কমিটি গঠন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।