প্রাথমিক বিদ্যালয় জানুয়ারি থেকে চলবে এক শিফটে
উন্নত দেশের মতোই দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এখন থেকে এক শিফটে পাঠদান চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ক্লাসরুম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সারা দেশে এ নিয়ম কার্যকর হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে এক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খানের বিদায় জানান ও নবনিযুক্ত সচিব ফরিদ আহাম্মদকে বরণ করে নেন।
বিদায়ী সচিব বলেন, ‘দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক শিফটে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে একই সময়ে স্কুল শুরু ও শেষ করার চেষ্টা করা হবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘ক্লাসরুম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকিরি হোসেন বলেন, ‘সরকারি চাকুরিতে বদলি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই পদায়নের কথা না ভেবে কর্মস্থলে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত গঠনের প্রধানতম হাতিয়ার। তাই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার উপোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এদের হাতেই গড়ে উঠবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা।’
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহিবুর রহমান, রুহুল আমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নুরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ২৭ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে আমিনুল ইসলাম খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সচিব এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়।