সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবারে ১৬ শিক্ষার্থী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গত ৩০ জুন বুয়েট-এর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে নীলফামারীর এ কলেজের কৃতিত্ব প্রকাশ পায়।

ভর্তির সুযোগ পাওয়া ১৬ জনের মধ্যে এক জন মেয়ে এবং ১৫ জন ছেলে। ভর্তি পরীক্ষায় সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের অবস্থান পঞ্চম।

বুয়েটে ভর্তি সুযোগ পাওয়া ইমন ইসলাম জানান, তাঁর স্বপ্ন ছিল বুয়েটে পড়ার। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফলে তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কলেজের ছাত্রাবাস থেকে লেখাপড়া করেন তিনি।

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের কিসামত হরকলি গ্রামের ইমনের বাবা আলমগীর হোসেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০১৯ সালে পাগলাপীর আদদীন একাডেমি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইমন সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হয়। বুয়েটে ভর্তির জন্য তিনি ঢাকায় একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করেছেন।

ইমন জানান, এইচএসসিতে দুবছর ভালোভাবে পড়াশোনা করলে কাঙ্ক্ষিত স্থানে ভর্তি হওয়া সম্ভব।

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, ‘এটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় এ কলেজের শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩৯ জন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আর বুয়েটে সুযোগ হয়েছে ১৬ শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের এ অর্জনে আমরা অনেক গর্বিত।’

১৯৬৪ সালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী স্কুল। পরে এটিকে ১৯৭৭ সালে কলেজে উন্নীত করা হয়। সে সময় সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী বিজ্ঞান মহাবিদ্যালয় নামকরণ করা হয়। পরবর্তীকালে ২০২০ সালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নতুন নাম করা হয়। 

সূত্র জানায়, চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) মোট ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৬৫ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪৯ জন। এর মধ্যে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পেয়েছেন বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ।

আর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে গত বছর (২০২১) ৪০ জন, ২০২০ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন এবং ২০১৮ সালে ৩৮ শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পান। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।