রসায়ন অলিম্পিয়াডের ১৩তম আসরের পুরস্কার প্রদান
শেষ হয়েছে বাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াড ২০২৪। আজ শুক্রবার (১৭ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় প্রতিযোগিতার ১৩তম আসর। এদিন বিজয়ী ২০ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ কেমিস্ট্রি সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রাজিউর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক. ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নূরনবী।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কেমিকেল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান মার্কেটিং কর্মকর্তা তানজিন ফেরদৌস আলম।
প্রতিযোগিতার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬০০ এর অধিক শিক্ষার্থী। সেখান থেকে ২০৪ জন শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পরীক্ষা। এখান থেকে প্রথম ২০ জন শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. নূরনবী বলেন, বর্তমানে যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বহুল আলোচিত বিষয় হলেও রসায়ন আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে কাজে লাগে। খাদ্য, চিকিৎসা, বিজ্ঞান থেকে শুরু জীবনের সবক্ষেত্রেই রসায়ন গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এখান থেকে স্নাতক শেষ করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশের প্রতিনিধি হয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় হওয়ার চেয়ে মূল বিষয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে তুমি এক সময় ঠিকই সফল হবে।’
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, কেমিস্ট্রির মূল প্রয়োগটা হয় ওষুধ তৈরিতে। যা আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমাদের তরুণরা এগিয়ে আসবে বলে আমি আশা করি। তিনি বলেন, এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিযোগী খুঁজে বের করা। আগামী জুন মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে রসায়ন অলিম্পিয়াডের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রতিযোগিতা করা জন্য এখান থেকেই রসায়নে ট্যালেন্টদে খুঁজে বের করা হবে।
অনুষ্ঠানে মিডিয়া হিসেবে এনটিভির অংশগ্রহণ করায় ধন্যবান জানান ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করায় এনটিভির প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।