আন্দোলনে বহিরাগত ঢুকেছে, দাবি কোটাবিরোধীদের
কোটাবিরোধী আন্দোলনে বহিরাগতরা ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা। এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেছেন, গতকাল আন্দোলনে এই বহিরাগতরা ঢোকেন। তিনি বলেন, তারা কেন এসেছিল, কাদের মাধ্যমে এসেছিল, তাদের চিনতে হবে, আপনাদের বুঝতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে ছাত্র সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বহিরাগত ঢোকার দাবি করেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন।
মাহিন বলেন, ‘বন্ধুরা, দুঃখের কথা কী আর বলব। কালকে আপনারা দেখেছেন, আপনারা ক্যাম্পাসের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। আপনারা দেখেছেন, আমাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগত কী পরিমাণ এসেছিল। তারা কেন এসেছিল, কাদের মাধ্যমে এসেছিল, তাদের চিনতে হবে, আপনাদের বুঝতে হবে। যে ছাত্র সংগঠন, যারা আমাদের এখানে আসার কথা, যারা আমাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কথা, আমাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা, তারা কিন্তু আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। বরং আমার ভাইকে মারার জন্য, আমার বোনোর ওপর হামলা করার জন্য তারা বাইরে থেকে বাস এবং ট্রাক বোঝাই করে টোকাই ভাড়া করে নিয়ে এসেছে।’
মাহিন আরও বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র, আমাদের যে আবেগ নিয়ে ফুটবলের মতো খেলছে, একবার লাথি দিয়ে সংসদ থেকে হাইকোর্ট, আবার হাইকোর্ট থেকে সংসদে পাঠানো হচ্ছে। আমাদের আবেগ আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের এই সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আবেগ বুঝতে হবে, আমাদের কথা শুনতে হবে। আমাদের কথা শুনতেই হবে। আমরা রাজপথে এসেছি, আমার বক্তব্যকে, আমাদের বক্তব্যকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’
আবু বাকের মজুমদার বলেন, খুবই দুঃখের বিষয় বন্ধুগণ, গতকাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদিককে লাঠিচার্জ করে মাথা ফাঠিয়ে দিয়েছে। গত কয়েকদিন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছি। কিন্তু, গতকাল নানান মহল থেকে হুমকি-ধামকি আসছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাবির ক্যাম্পাসে অছাত্র এসে ভরে গিয়েছিল। তারপর কোন কুচক্রি মহল আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুর ওপর হামলা করেছে। আমরা চাই, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হোক। সেই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।