রাকসুতে ভিপি-জিএস পদে ৩১ জনসহ লড়ছেন যারা

অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শুরু হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ ৩৫ বছর বিরতির পর আয়োজিত এই নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে লড়ছেন মোট ৩১ জন প্রার্থী। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ক্যাম্পাসজুড়ে। নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য, আর প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রচারণা ও কৌশল নির্ধারণে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৩ জন ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া অন্যান্য পদের মধ্যে ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে আটজন, সহকারী ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে ছয়জন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ জন, সহকারী সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে ৯ জন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে ছয়জন, সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে আটজন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৮ জন, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৮ জন, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ছয়জন, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে আটজন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ১২ জন, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ১৬ জন, নির্বাহী সদস্য পদে ৫৫ জন ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে বিভিন্ন সংগঠনের সমর্থনে দশের অধিক প্যানেল অংশগ্রহণ করছে। আলোচিত প্যানেলগুলো হলো—ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃত্বে গঠিত ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’, সাবেক সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ‘আধিপত্যবাদবিরোধি ঐক্য’, বাম জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ঘোষিত ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’, সাবেক আরেক নারী সমন্বয়কের নেত্বতে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মনোনিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’।

এরমধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন—ভিপি পদে শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি শেখ নূর উদ্দিন আবীর, জিএস পদে শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবন, এজিএস পদে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা, ক্রীড়া সম্পাদক পদে নার্গিস খাতুন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান শাওন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল কাফী, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহরিয়ার আলম অধী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বপ্না আক্তার, সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে নুসরাত ঈশিতা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে গাজী ফেরদৌস হাসান, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে রেদোয়ানুল ইসলাম হৃদয়, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে রাফায়েতুল ইসলাম রাবিত, সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নূর নবী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে মারুফ হোসেন, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে নাইমুল ইসলাম নাঈম, বির্তক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে মাসুম বিল্লাহ, সহবির্তক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে জিসান বাবু, পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে এআর রাফি খান, সহপরিবেশ ও সমাজ সেবা সম্পাদক পদে কুঞ্জশ্রী রায় সুলগ্ন (শুভ), সদস্য পদে মিনারুল ইসলাম মেঘ, সাইদ হাসান ইবনে রুহুল, মাহবুব মোর্শেদ ইল্লিন, মো. আশরাফুল ইসলাম।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন—ভিপি পদে শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস পদে সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা, এজিএস পদে সোচ্চার রাবি শাখার সভাপতি সালমান সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক পদে হামিদুল্লাহ নাঈম, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে আবু সাঈদ নাঈম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জাহিদ হাসান জ্বোহা, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রাকিবুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সাঈদা হাফসা, সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সামিয়া জান্নাত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে নাজমুস সাকিব, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে সিফাত আবু সালেহ, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম, সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আসাদুল্লাহ হিল গালিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান হাওলাদার, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ইমরান লস্কর, সহবিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে নয়ন মুরসালিন, পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সহপরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে মাসুমা ইসলাম মোমো এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দ্বীপ মাহবুব, সুজন চন্দ্র, ইমজিয়াউল আলি ও খালিদ হাসান।
সাবেক সমন্বয়কদের প্যানেল হিসেবে পরিচিত ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন— ভিপি পদে মেহেদী সজিব, জিএস পদে সালাহউদ্দিন আম্মার, এজিএস পদে আকিল বিন তালেব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইয়াসিন আরাফাত, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরিফ, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে মাহবুব আলম মোহন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে হেমা আক্তার ইভা , সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে জান্নাতুল ফেরদৌসি তৃষা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ফাহির আমিন, সহমিডিয়া ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক পদে এম শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে জাকির হোসেন, সহবিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে আরিয়ান আহমদ, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে আহসান হাবিব, সহপরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ঈষিতা পারভীন ও নির্বাহী সদস্য পদে সাজ্জাদ হোসেন, আরিফুল ইসলাম, হাবীব হিমেল, সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি পদে মেহেদী সজীব, সালাহউদ্দিন আম্মার, আকিল বিন তালেব, জাকির হোসেন এবং আহসান হাবিব।
‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলে লড়ছেন—ভিপি পদে তাসিন খান, জিএস পদে রাজন আল আহমেদ, এজিএস পদে মাহাইর ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে শীত কুমার ওরাং, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অমিত তাঞ্চঙ্গা, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. লাদেন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে সামসাদ জাহান, সহছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদে নাদিয়া হক মিথী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে সরোয়ার জাহান নাহিদ, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুনান হাওলাদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে তোফা, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে কবি গোপাল রায়, সহবিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে আর রাফি সিরাজী অন্তর, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, সহপরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এস এম রিজন এবং নির্বাহী সদস্য পদে মো. ফেরদৌস শরীফ, ইমাম হোসেন, এস এম হাফিজুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মুয়াজ, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে তাসিন খান, মাহাইর ইসলাম এবং গোপাল রায়।
এছাড়াও বিভিন্ন প্যানেলসহ স্বতন্ত্রভাবেও প্রতিদ্বন্বিতা করছেন অনেক প্রার্থী। এদের মধ্যে ভিপি প্রার্থীরা হলেন—সাগর আহমেদ মিয়া, মো. আ. নূর, অদ্রীব নাহা উৎস, ফুয়াদ রাতুল (গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ), নোমান ইমতিয়াজ, মাসুদ কিবরিয়া (অপরাজেয় ৭১-অপ্রতিরোধ্য ২৪), আব্দুল বারিক, মেহেদী মারুফ (রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ), তাওহীদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট), মেহেদী হাসান সুমন ও মাহবুব আলম (ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ), শাকিল মিয়া, বিল্লাল হুসাইন ও মুহিব।
আর জিএস প্রার্থীরা হলেন—সাদ মোহাম্মদ, নুসরাত জাহান নূপুর (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট), আছিয়া খাতুন, কাউসার আহম্মেদ (গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ), পরমা পারমিতা (অপরাজেয় ৭১-অপ্রতিরোধ্য ২৪), হাবিবুর রহমান, শরিফুল ইসলাম শরিফ (ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ), আব্দুল মুকিত ও আফরিন জাহান (রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ)।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রার্থীরা। লিফলেট বিতরণ, পোস্টার আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুঙ্গে উঠেছে নির্বাচনি আমেজ। হলে হলে বৈঠক, ক্যাম্পাসে মিছিল-মিটিং করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ছাত্রস্বার্থ, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা, আবাসন সংকট নিরসন, পরিবহণ সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা।
তবে ভোটারদের প্রত্যাশা, প্রশাসনের মুখপাত্র হিসেবে নয় সত্যিকারের ছাত্রস্বার্থ রক্ষা করবে, শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে এমন প্রার্থীদেরই বিজয়ী হওয়া উচিত। অতীতের মতো দলীয় রাজনীতিতে না জড়িয়ে সেশনজট কমিয়ে শিক্ষার মান বাড়ানো সবচেয়ে জরুরি।
নাজমুল হক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন—আমরা চাই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শুধু দলের রাজনীতি না করে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করুক। হলে সিটের ন্যায্য বণ্টন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা, সাশ্রয়ী ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ও গবেষণার সুযোগ বাড়ানো—এসব আমাদের প্রধান দাবি। বিশেষ করে রাকসুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো প্রশাসনের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে, এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’র ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, ‘প্যানেল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমাদের প্যানেলটি সেরা প্রার্থী দিয়ে সাজানো হয়েছে। এতে রয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মী, নাট্যকর্মী এবং ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরা। আমরা প্রতিটি পদে যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করেছি। আমরা জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী।’
তবে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান বলেন, বারবার নির্বাচন পেছানোর ফলে প্রচার-প্রচারণায় কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এরপরও প্রচার-প্রচারণা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। ছোট খাটো কিছু বিচ্যুতি থাকলেও আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ-নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন। আমরা রাবি শিক্ষার্থীদের প্রতি আস্থা রাখছি এবং আমাদের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পূর্ণ প্যানেলেই বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ১৬ তারিখ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোটামুটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমরা নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তিন স্তরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাখবো। এর বাইরে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করবে, প্রক্টোরিয়াল বডি কাজ করবে। এছড়াও শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তায় সবমিলিয়ে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে বলে আশা রাখছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের একটি নির্বাচন। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের এই ভোট কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় আমরা সেটিই দেখব। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখাব। সুন্দর একটি নির্বাচনের জন্য আমাদের সবার সহযোগিতার প্রয়োজন। সবার সহযোগিতায় আশা করছি আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারব।’