ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উদযাপন
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রজতজয়ন্তী ও প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ও শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত ও বিজ্ঞান অনুষদ ভবন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে প্রশাসন ভবন, প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। দ্বিতীয় দিনের এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম নাজমুল হুদা। এ সময় আরও বক্তব্য দেন রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক এবং আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান যুগে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা। শিক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ভাবনে এখানকার শিক্ষার্থীদের সুযোগ আন্তর্জাতিক পরিসর পর্যন্ত বিস্তৃত।’
অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষার্থী কখনোই তার বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। একবার যে শিক্ষার্থী হয়, তিনি আজীবনই শিক্ষার্থী—কারণ বিভাগই তাঁর আলমা মাটার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিভাগের অ্যালামনাইরা ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, এসব আমাদের গর্বিত করে।’
এর আগে শুক্রবার অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের আয়োজন হিসেবে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে পিঠা উৎসব, গল্পে গল্পে চা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

মায়িশা মালিহা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়