গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন : ভোটারের সারিতে নেই ভিড়
আলোচিত সংসদীয় গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা, আর তার সঙ্গে বইয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। ফলে ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টা পার হলেও ভোটারদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের।
এই আসনের নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়াও স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সাঘাটা উপজেলা ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলা সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গাইবান্ধা-৫ আসন। ফুলছড়ি উপজেলায় মোট এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ জন ও সাঘাটা উপজেলায় দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন ভোটার আছেন। এরমধ্যে দুই উপজেলায় পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
এই উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। কিন্তু, নাহিদুজ্জামান নিশাদ নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী গত ২৫ ডিসেম্বর বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
অপর চার প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। অন্যদিকে, লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, কুলা প্রতীকে বিকল্পধারা মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে।
গত ২৩ জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ১২ অক্টোবর এই আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনিয়মের কারণে ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ফের কমিশনের সিদ্ধান্তে আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এ উপনির্বাচনে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ইভিএম ভোটগ্রহণ করার জন্য ১৪৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসির যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রে এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যা পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ ও চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের মাঠে থাকবে।’