ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচনে নৌকার মাঝি সাজু
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ)-এর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। আজ রোববার রাতে দুই সহকারি রিটার্নিং অফিসারের (সরাইল ও আশুগঞ্জের ইউএনও) কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফলে তিনি বিজয়ী হন।
আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। পরে রাতে ভোট গণনা শেষে ২৮ হাজার ৫৬৬ ভোট বেশি পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ঘোষিত ফলে ১৩৩টি কেন্দ্রের সব কয়টিরই ফল এসেছে। এতে নৌকা প্রতীকে শাহজাহান আলম সাজু পেয়েছেন ৬৬, হাজার ৩১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট। লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন তিন হাজার ১৪২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং আম প্রতীকে পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
নির্বাচনে ভোট পড়েছে এক লাখ আট হাজার ৫১৪টি। ভোট পড়েছে শতকরা ২৭ দশমিক ১৩ ভাগ।
ভোটের পরিবেশ সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ থাকলেও প্রকাশ্যে সিল মারা, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও ভোটার লিস্টে ইচ্ছে করে গড়মিলসহ অনিয়মের অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মারা যাওয়ায় এই সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়। পরে এ আসনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তার ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগের পর নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনে গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তার মৃত্যুতে আসনটি পুনরায় শূন্য হলে এই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ফলে এ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।