ভোলায় নির্বাচনি সহিংসতায় গাড়িতে গুলি, আহত ১৫
ভোলা সদর উপজেলা পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পূর্ব ইলিশা,দক্ষিণ দিঘলদী ও চর সামাইয়া ইউনিয়নে গুলি,হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার এসব ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশায় গতকাল সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে প্রকাশ্যে নৌকার সমর্থকরা সতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটনের নির্বাচনি প্রচারণার গাড়িতে গুলি করে। পরে তারা দ্রুত পাশেই পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পায়। মোটরসাইকেলে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তির ছোড়া গুলিতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটন। তবে এ ঘটনায় তার ব্যবহৃত মাইক্রোর পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় এ সময়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটন দাবি করেন,নৌকা প্রতীকের ভাড়াটে গুণ্ডারা এই হামলা চালায়। প্রশাসন পাঁচ দিন প্রচারণা বন্ধ রাখার পর বের হয়েই গুলি ও হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন প্রতিদিন গুলি,বোমা হামলা, প্রচারণায় বাধা,মাইক ভাঙচুর করছে নৌকার প্রার্থীর বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। তিনি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনি পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ তার জীবনের নিরাপত্তার দাবি করেন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী সোহরাওয়ার্দীর ছেলে আল নোমান বলেন, সতন্ত্র প্রার্থীর ছোটনসহ সন্ত্রাসীরা ইলিশা পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়ে অস্ত্র বের করে তাদের দিকে তাক করে। এ ছাড়া তাদের বাড়ির সামনে বোমা হামলাসহ তাদের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এসব ঘটনায় বর্তমানে ইলিশায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অপর দিকে গতকাল রাতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বটতলা নামক স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী নওশাদ হোসেনের সমর্থক কাওসার নামের এক বৃদ্ধাকে ঘর থেকে তুলে এনে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। চর সামাইয়া ইউনিয়নে বিএনপিবাজার এলাকায় সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হেলাল উদ্দিন, রিপন, সাইফুল, ইসমাঈল, মুন্না, আবিদসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।